শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্নীতি দমন টুয়েন্টিফোর ডট কম
আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০১৯ ২২:০৯
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছেন আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত
সাহা। তার গ্রেফতারের পর বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উঠে আসছে নানা
চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অমিত সাহা বুয়েটের জুনিয়রদের ওপর
বেশি আগ্রাসী ছিলেন। তার মারধরের স্বীকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ কারণে অমিত
সাহাকে আতঙ্ক হিসেবেই জানত জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ব্যাচের অধিকাংশ
শিক্ষার্থী সিনিয়রদের মধ্যে একজনকে পেছন থেকে সবচেয়ে বেশি গালমন্দ করতেন।
তিনি হচ্ছেন অমিত সাহা। তাকে সব সময় আগ্রাসী ও মারমুখী দেখা যেত। তাকে কেউ
দেখতে না পারলেও সামনাসামনি কেউ কিছু বলার সাহস পাননি।
এক সিনিয়রকে
চটকানি দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো একটি পোস্টে অমিত কমেন্ট করেন, বুয়েট
ছাত্রলীগ সুশীল হবে, মারবেও না, বাট কোনো সুশীল নন-পলিটিক্যাল একটা কথা
বলার সাহসও রাখবে না। ইদানিং সুশীলদের কথা অনেক বেশি বাড়ছে।
আবরার
হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহা যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, সেই অভিযোগ দুদিন ধরেই করে
আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, আবরার ফাহাদ হলে আছেন কিনা সে
বিষয়ে প্রথম খোঁজ নিয়েছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক
অমিত সাহা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অমিত সাহা আবরারের এক বন্ধুকে ইংরেজি
অক্ষরে 'আবরার ফাহাদ হলে আছে কিনা' মেসেজ দেন।
মেসেজের এক ঘণ্টার
মধ্যেই শেরেবাংলা হলের ছাত্রলীগ নেতারা আবরারকে ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে
নিয়ে যায়। ২০১১ নম্বর কক্ষে এনে তাকে লাঠি, চাপাতি ও স্টাম্প দিয়ে পেটায়।
সূত্র
বলছে, ৬ অক্টোবর রাতে অমিত সাহার রুমে প্রথম দফায় মারধরের নেতৃত্ব দেন
ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল। তার সঙ্গে মারধর
শুরু করেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ও
উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল। পরে যোগ দেন অনিক, জিয়ন, মনির ও
মোজাহিদুলসহ অন্যরা। প্রথম দফায় মারধর চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। এর পর রাতের
খাবার খাওয়ানো হয় আবরারকে। খাওয়ানো হয় ব্যথানাশক ট্যাবলেটও। দেয়া হয় মলম।
দ্বিতীয় দফা মারধর শুরুর সময় অনিক ছিলেন সবচেয়ে মারমুখী।
আবরার এ
সময় বারবার বমি করছিলেন। একপর্যায়ে তাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় মুন্নার কক্ষে।
সেখানে আবরারের শরীরের ওপর অনিক ক্রিকেট স্টাম্প ভাঙেন। পরে আরেকটি
স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। তৃতীয় দফার মারধর শুরু হয় মুন্নার কক্ষে।
তখন মধ্যরাত। নির্মম পিটুনিতে আবরার লুটিয়ে পড়েন। এরপর নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে
নিচে নামানোর চেষ্টা করেন ঘাতকরা। মাঝ সিঁড়িতে যেতেই তারা বুঝতে পারেন
আবরার মারা গেছেন। সিঁড়িতেই মরদেহটি রেখে তখন ওই স্থান ত্যাগ করেন তারা।
অমিত
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। মেধাবী
শিক্ষার্থী হিসেবে বুয়েটে ভর্তি হলেও পরে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।
বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে পদ পেতে নিজেকে আগ্রাসী হিসেবে পরিচিত করেন
ক্যাম্পাসে। ফলও পান দ্রুত। স্বল্প সময়ে বনে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের
উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ফল স্থগিত করা বিস্তারিত
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন ঘিরে অভিভাবক বিস্তারিত
বুয়েটর উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, চার্জশিটের জন্য এতদিন দেরি বিস্তারিত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, সকল আবাসিক বিস্তারিত
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বর্বর নির্যাতনে নিহত হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিস্তারিত
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিস্তারিত
ভর্তিচ্ছুদের কথা বিবেচনা করে আগামী ১৩-১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করেছেন বিস্তারিত
বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুতে বিস্তারিত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বিস্তারিত
© Copyright Durnitidomon24.com
Developed By Muktodhara Technology Limited.