শিরোনাম

১০৩৯ কলেজ শিক্ষার্থী শূন্য

জামাল হোসাইনঃ: দুর্নীতি দমন টুয়েন্টিফোর ডট কম

আপডেট: জুন ১৩, ২০১৮ ১২:৩২

image

নামসর্বস্ব কলেজের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। চলতি বছর একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরই এ অভিযান শুরু হবে। তার আগে এসব কলেজের সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদিকে গত রোববার প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে সারা দেশের ১৭৩টি কলেজে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তির জন্য আবেদন করেনি। আর ৮৬৬টি কলেজকে শিক্ষার্থীরা আবেদনের তালিকায় রাখলেও কোনো শিক্ষার্থী পায়নি।সব মিলিয়ে ১০৩৬টি কলেজ প্রথম দফায় প্রকাশিত ভর্তি ফলাফলে শিক্ষার্থী শূন্য রয়েছে। তবে আরো দুই দফা ভর্তি নিশ্চয়নের সুযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী শূন্য থাকলে কলেজগুলো বন্ধ করে দেয়ার আভাস দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার সারা দেশে ১৬ হাজার ৪০৬টি কলেজে ভর্তির আবেদন নেয়া হয়। এর মধ্যে ১৭৩টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী 
আবেদন করেনি। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে দশটি কলেজ পছন্দ দিতে পারেন। মেধা অনুযায়ী বোর্ড থেকে কলেজ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আর শিক্ষার্থীরা ৮৬৬টি কলেজ পছন্দ দিলেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী পায়নি এসব কলেজ। এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ মানবজমিনকে বলেন, কলেজে শিক্ষার্থী থাকবে না, আর কলেজ চলবে এটা হতে পারে না। এসব ভুঁইফোঁড় কলেজের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী শূন্য কলেজগুলোর বিগত তিন বছরের শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য পর্যালোচনা করে বন্ধ করে দেয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেই প্রথমে কারণ দর্শানো হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ভুঁইফোঁড় কলেজ নিয়মিত পরিদর্শন করা হবে। সেখানে কারা কি পড়াচ্ছেন কত জন শিক্ষার্থী রয়েছে এসব দেখা হবে। শিগগিরই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করবো।
আন্তঃবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৩৫টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি আবেদন করেনি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ২৪শে নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে উচ্চ মাধ্যমিকে শতভাগ ফেল করায় এবং একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি না হওয়ায় ২১৯টি কলেজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। গত বছর ১৪৩টি কলেজ বন্ধ করা দেয়া হয়েছে। তবে কলেজগুলোর কোনো কোনোটি এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ জন ভর্তি ইচ্ছুক আবেদনকারীর মধ্যে ১২ লাখ ৩৮ হাজার ২৫২ জনকে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। যা মোট আবেদনের ৯৬ শতাংশ। বাকিরা কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি। তারা দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় আবেদন করতে পারবে। দ্বিতীয় দফায় সুযোগ না পেলে তৃতীয়বার সুযোগ পাবে। এবার আসনের চেয়ে শিক্ষার্থী কম হওয়ায় সবাই সুযোগ পাবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী না পাওয়া বেশির ভাগ কলেজ ঢাকা বোর্ডের অধীন ঢাকা শহরে। প্রয়োজন না থাকলেও বোর্ডের সাবেক কয়েকজন কলেজ পরিদর্শক টাকার বিনিময়ে নতুন নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পাঠদানের অনুমতি দেয়ার পক্ষে প্রতিবেদন দেন। আর কলেজের অনুমোদন দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। এসব কলেজের অধ্যক্ষ ও কর্মকর্তারা প্রশ্ন ফাঁস, জিপিএ-৫ বিক্রি ও পরীক্ষা কেন্দ্রে অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদেনেও এসব বিষয় ওঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীসহ দেশের অলিগলিতে ভাড়া বাসায় গড়ে উঠেছে ভুঁইফোঁড় কলেজগুলো। মানহীন এসব কলেজের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ নেই। এসব কলেজে নেই ভালো খেলাধুলার ব্যবস্থা, নেই বিনোদন ও সংস্কৃতি চর্চার জায়গা। কোনো কোনো কলেজে রয়েছে ক্লাসরুম সংকট। আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। সর্বোপরি মানহীন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করায় বোর্ড পরীক্ষায় ফল খারাপ করছে। আগে চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে ভুঁইফোঁড় কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চালুর পর কলেজগুলোর আসল চিত্র বেরিয়ে আসে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিজেদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন। এতেই বিপাকে পরে অখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

ঢাকা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভুঁইফোঁড় কলেজগুলেকে আশ্রয় দিয়েছেন বোর্ডের কয়েজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। এর মধ্যে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে জিপিএ-৫ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তে দুটি কমিটি কাজ করছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্যিক কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্র ও ভেন্যুর অনুমোদনের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তাকে বদলি করা হলেও তদবির করে স্বপদে বহাল আছেন। কেনাকাটাসহ বোর্ডের সকল দুর্নীতির নাটের গুরু সচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী। বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান (বর্তমানে মাউশির মহাপরিচালক) প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান দুর্নীতি মুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। গত ২২শে ডিসেম্বর আটজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে বোর্ড থেকে বদলি করা হয়েছে। তাদের স্থলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন দক্ষ কর্মকর্তাকে পদায়ন করেছে মন্ত্রণালয়। বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক দায়িত্ব নেয়ার পর বোর্ডকে কলঙ্কমুক্ত করার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু দুর্নীতির দুই নাটের গুরুকে সরিয়ে না দিলে ঢাকা বোর্ড দুর্নীতিমুক্ত করা কঠিন হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন।

image
image

রিটেলেড নিউজ


ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের ফলাফল স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ফল স্থগিত করা বিস্তারিত


ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির নির্বাচন ঘিরে ধোঁয়াশা

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন ঘিরে অভিভাবক বিস্তারিত


একটু ধৈর্য্য ধরুন: বুয়েট ভিসি

বুয়েটর উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, চার্জশিটের জন্য এতদিন দেরি বিস্তারিত


বুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শপথ গ্রহণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, সকল আবাসিক বিস্তারিত


গুগল ম্যাপে আবরারের নামে হল, খুনিদের নামে শৌচাগার

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বর্বর নির্যাতনে নিহত হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিস্তারিত


শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা মেনে নিয়ে বুয়েটে নোটিশ

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিস্তারিত


আন্দোলন শিথিল, যথাসময়ে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তিচ্ছুদের কথা বিবেচনা করে আগামী ১৩-১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করেছেন বিস্তারিত


ক্ষমা চাইলেন বুয়েট ভিসি

বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুতে বিস্তারিত


বুয়েটে জুনিয়রদের আতঙ্ক ছিলেন ছাত্রলীগের অমিত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বিস্তারিত


image
image

নামাজের সময়সূচি

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

এক ক্লিকে বিভাগীয় খবর

আবহাওয়া

ক্যালেন্ডার

March 2017
M T W T F S S

চট্টগ্রাম বন্দরের সিডিউল

বিমান বন্দরের সিডিউল


Cities_image
Cities_image

জোয়ার ভাটা

Cities_image

নিউজ পাঠান







পাঠক নিউজ

বকুলতলাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান

পাঠকঃ

মাটিতে বিছানো মাদুরে বসা ষাটোর্ধ্ব আতিয়ার রহমান। পেছনে পাশাপাশি সারিবব্ধভাবে তাঁর ছোট ছেলে ওলিদুল ইসলাম; আর কৃষক জামাত আলী, কিতাই সরদার ও হায়দার বিস্তারিত



নেত্রকোনায় দুই কারারক্ষীকে ফাঁকি দিয়ে পালাল চোর

পাঠকঃ

নেত্রকোনা শহরের কুখ্যাত চোর মেহেদী হাসান ওরফে আলম চোরা (৩২) দুই কারারক্ষীকে ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার বিস্তারিত